গত কয়েক বছরের মত এবারও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন্ দেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে মুন্সিগঞ্জের সবজি। ঢাকার পাইকাররা মুন্সিগঞ্জ থেকে সবজি কিনে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছেন। মুন্সিগঞ্জের সবজি শুধু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে না দেশের বড় বড় পাইকারি বাজারেও বিক্রি হচ্ছে।
সদররের আড়তদাররা জানান, এবার মুন্সিগঞ্জের সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চাষ হয়েছে করলা, উস্তা, চিচিঙ্গা, লাউ, চালকুমড়া, ধুন্দলসহ বিভিন্ন সবজি। ঢাকা থেকে পাইকরারা এসে এবার এসব সবজি কিনে নিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছেন। বাজারে সবজির সরবারহ বেড়েছে কিন্তু দামও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
বজ্রযোগীনি বাজারের আক্তার ট্রেড্রার্সের মালিক আক্তার হোসেন বলেন, আমার আড়তে ঢাকা থেকে সাপ্লাইয়ের গাড়ি আসে। এখান থেকে প্যাকিং করে সরাসরি বিমানবন্দরে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমার আড়তেই এই মৌসুমে প্রতিদিন ১ হাজার মণের ওপরে সবজি বিক্রি হয়েছে। তবে এ বছর সবজির দাম কিছুটা কম।
আরেক ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখ বলেন, আমরা কৃষকের বিষমুক্ত সবজি আনি। আমাদের বাজারের সবজি দুবাই, কাতার, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে যায়। আবার দেশের মধ্যে ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, গাজীপুরের বিভিন্ন আড়তে যায়।
বজ্রযোগিনী এলাকার কৃষক সুমন বলেন, ৭ গন্ডা জমিতে সবজি চাষ করছি। ৪০ হাজার টাকা খরচ হইছে। এ পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা বিক্রি করছি। কিন্তু সিলেটের বন্যায় জমি তলিয়ে যাচ্ছে। এখন তো সবই লস হইব। যদি বন্যা না হইত, তাহলে এবার আরও লাভবান হইতাম।
মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচারক মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের তত্ত্বাবধানে একটি প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত শতভাগ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদিত হয়নি। তবে আমাদের পক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি দেশের অন্যান্য এলাকার সবজির তুলনায় গুণগতমান ভালো। আমাদের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, মানুষ খাল-বিল ভরাট করে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা বন্ধ করে যত্রতত্র হাউজিং প্লট তৈরি করছে। ফলে পানি নামতে পারছে না। এ কারণে অসময়ে কৃষকের জমি তলিয়ে যাচ্ছে।
0 coment rios: