Monday, May 30, 2022

শীতকালের ব্যবস্থাপনা এবং সমস্যা/সমাধান (ইউটিএগ্রোবিডি)



অন্যান্য সময় থেকে শীতের পার্থক্য কোথায়।

পার্থক্য হল তাপ,পর্দা ও পর্দা ব্যবস্থাপনা,লিটারর উচ্চতা,ব্রুডার, আলাদা ঘরের ভিতর ব্রুডার ঘর,ব্রুডিং পিরিয়ড।

আমরা ব্রুডিং বলতে যা বুঝি তা হল শীতকালের ব্রুডিং।

গরমকালে ব্রুডিং করতে হয়না।কিন্তু আমরা ব্রুডিং গরমকালেও করে থাকি যা দরকার হয়না তেমন।অনেকে গরমের সময় ব্রুডিং করতে গিয়ে অতিরিক্ত তাপ দিয়ে মুরগির ক্ষতি করে থাকি।

১.পর্দাঃ

পর্দা মুরগির জন্য ক্ষতিকর,পর্দা দেয়া যাবেনা

এসব কথা গরমের সময় ঠিক আছে,শীতের পর্দা দিতে হবে,দিতে হয়।কারণ শীতের সময় যেভাবে তাপ দিতে হয় সেই ব্যবস্থা করা আমাদের দেশের খামারীদের পক্ষে সম্মব হয়না।

তবে এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে তা হল ১৫-২০দিনের পর পর্দা দেয়া যাবে না দিলেও অবস্থা অনুযায়ী কয়েক ঘন্টা পর পর পর্দা ডাউন করতে হবে।আর ১৫দিন আগে পর্দা দিতে হবে বিশেষ করে ১ম ৭-১০দিন।তবে তা পরিবেশের তাপমাত্রার উপর অনেকটা নির্ভর করে।

২.ঘরের ভেতর ঘরঃ

অতিরিক্ত শীতের কারণে ব্রুডিং টা ঘরের উত্তরদিনে কোনায় বা মাঝে মাঝে একটা ঘর বানাতে হয় কাপড়/পলিথিন দিয়ে।

৩.পলিথিনঃপলিথিন ফার্মের জন্য ভাল না কিন্তু শীতের ব্রুডিং এর সময় ভাল কিন্তু গরমের সময় দেয়া যাবে না।

৪.লিটারঃ

শীতে লিটারের উচ্চতা বাড়িয়ে দিতে হবে কারন লিটার পাতলা হলে বাচ্চার পা দিয়ে শরীরের তাপ বের হয়ে যাবে।এতে মুরগির আরো বেশি ঠান্ডা লাগবে।তাই লিটারের উচ্চতা ২-৪ইঞ্চি করা ভাল।

আরেকটা কাজ করা যায় ৫-৭দিন পর পর জায়গা পরিবর্তন করলে মুরগি ভাল থাকে কারণ নতুন জায়গায় গ্যাস না থাকার কারণে মুরগি সুয়াথ থাকে।এটা করলে পারলে ভাল।যেমন ব্রুডিং করা হয়েছে পশ্বিম পাশে ৭দিন পর বাচ্চা গুলোকে পূর্ব পাশে নতুন লিটারে নিয়ে আসলে ভাল হয়।

৫.গরম পানিঃশীতের সময় ব্রুডিং এ পারলে কুসুম গরম পানি দেয়া ভাল।

৬.তাপের ব্যবস্থাঃশীতে মুরগিকে কেউই সঠিক তাপ দিতে পারেনা।এই ক্ষেত্রে সম্বব হলে গ্যাস ব্রুডার,ইনফ্রারেড বালব,কাঠের গুডি বা বালি বা হিটার বা তুষ দিয়ে তাপের ব্যবস্থা করতে পারেন।তবে নরমালী সবাই লাল বাতি দিয়েই তাপ দিয়ে থাকে।

৭.বালব জ্বালিয়ে রাখাঃ

শীতে বাচ্চা আসার ১২-২৪ ঘন্টা আগে বালব জ্বালিয়ে রাখতে হবে যাতে কিছুটা তাপমাত্রা আগেই বাড়ানো যায়।

নোটঃ সব কিছুই অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে, ফিক্সড করে বলা যাবে না কি করতে হবে।

৮.ব্রুডিং পিরিয়ডঃ শীতে ৭-১৪দিন তাপ দেয়া লাগতে পারে যা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।গরমের সময় ০-৩দিন।

নিচের লেখাটা কালেক্টেড

শীতকালীন সতর্কতা

কোল্ড স্ট্রেস

অত্যাধিক ঠান্ডা অনুভুত হবার কারনে বাচ্চাতে যে ধকল পরে তাকেই কোল্ড স্ট্রেস বলে। কোল্ড শকে বাচ্চা সরাসরি মারা যায় এবং সংখ্যাটা তেমন বেশি না। কিন্তু কোল্ড স্ট্রেসে বাচ্চা মারা না গেলেও এটা যে ক্ষতি করে যায় তার ব্যপকতা কোল্ড শকের চেয়ে বেশী।
সঠিক পর্দা ব্যবস্থাপনা ও শেড অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত থাকার পরেও শুধুমাত্র কোল্ড স্ট্রেস বা ঠান্ডা অনুভুতির কারনেও ব্রয়লারে এসাইটিস্ হতে পারে।

কোল্ডস্ট্রেসের কারন

১. অপর্যাপ্ত তাপের ব্যবস্থাঃ
ব্রুডিং পিরিয়ডে পর্যাপ্ত তাপের ব্যবস্থা না করলে বাচ্চাগুলো শীত অনুভব করে। কারন এই সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্গানগুলো বাচ্চাগুলোতে পরিপূর্নভাবে বিকশিত হয় না।

২. অনেক বড় ব্রুডিং এরিয়াঃ
বেশী বাচ্চা একসাথে ব্রুডিং করলে ব্রডিং এরিয়া বড় করতে হয়। ফলে পরিধির দিকে তাপ কম যায় এবং সেখানকার বাচ্চাগুলোতে তাপ লাগে না।

৩. ব্রুডিং পর্দাঃ
শীতকালে ব্রুডিং এরিয়ার চারপাশে আলাদা পর্দা দিয়ে ছোট ঘর বানাতে হবে। এতে তাপের অপচয় রোধ হবে। এমনটি না করলে তাপ পরিচলন প্রক্রিয়ায় ব্রুডিং এরিয়া থেকে শেডের অন্য ঠান্ডা স্থানে সঞ্চালিত হবে। ফলে ব্রুডিং এরিয়ায় প্রত্যাশিত তাপ পাবেন না। এবং বাচ্চাগুলো কোল্ড স্ট্রেসের শিকার হবে।

৪. কম পুরুত্বের লিটারঃ
শীতকালে ব্রুডিং এ লিটারের পুরুত্ব কম হলে নীচ (ফ্লোর) থেকে ঠান্ডা বাচ্চাতে সঞ্চালিত হয় এবং কোল্ড স্ট্রেসের সম্মুখীন হয়। ব্রয়লারের বাচ্চার শরীরে তাপের সঞ্চার ঘটে মুলত পায়ের পাতা দিয়ে। তাই পায়ের নীচের লিটার পুরু করে দিতে হবে যেন নীচ থেকে কোন ঠান্ডা না পায়।

৫. শৈতপ্রবাহঃ
শেডের পর্দা যদি ছেঁড়া, ফাঁটা হয় তবে সেখান দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে তাপের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। যার ফলে বাচ্চাতে কোল্ড স্ট্রেস পরে।

কোল্ডস্ট্রেস কিভাবে বুঝবেন

১. বাচ্চা গুলোর পায়ের তালু আপনার গালের সাথে স্পর্শ করলে যদি আপনি ঠান্ডা অনুভব করেন তবে বুঝবেন বাচ্চাগুলো কোল্ড স্ট্রেসে আছে।

২. এটি খুবই প্রচলিত পদ্ধতি এবং সবার জানা। যদি দেখেন বাচ্চাগুলো ব্রুডারের যেকোন এক কোনায় বা হোবারের নিচে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে তাহলে ধরে নেন ব্রুডিং এরিয়ায় তাপ কম আছে। এবং বাচ্চাগুলো স্ট্রেসের শিকার।

কোল্ডস্ট্রেস হলেকি হবে

১. কোল্ড স্ট্রেস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বাচ্চাগুলো খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির বেশীরভাগ দৈহিক তাপ উৎপাদনে ব্যয় করবে। ফলে এক্ষেত্রে স্বাভাবিক গ্রোথ ব্যহত হবে।

২. কোল্ড স্ট্রেসে পড়লে বাচ্চাগুলোর পেরিফেরাল ভেসোকন্সট্রিকশন হয়। ফলে পেরিফেরাল টিস্যুতে ব্লাড সাপ্লাই দিতে ও তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে হার্টকে বেশী (সংখ্যা+স্ট্রেন্থ) পাম্প করতে হয়। যার ফলে এসাইটিস্ হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

৩. কুসুম থলি এ্যবজর্ভড হবে না। ফলে সেখানে ব্যকটেরিয়াল ইনফেকশনের চান্স বৃদ্ধি পায়।

প্রতিকার

যে যে কারনে বাচ্চা কোল্ড স্ট্রেসের শিকার হতে পারে সেদিকগুলোতে নজর দিলেই এটি রোধ করা সম্ভব।



...............................................................TAG...................................................................................
ফসল, পশু-পাখি পালন, কৃষি প্রযুক্তি, শাক-সবজি, crops, দানাশস্য, পশু-পাখির রোগ, ডিজিটাল বই, মৎস্য চাষ, পশুপাখির খাদ্য, বিবিধ, অর্থকরী ফসল, বায়োফ্লক, জৈব, কৃষি, ডাল, ১২ মাসের রুটিন, গরুর জাত, তেলবীজ, ফসলের রোগ, গরু, মসলা, ছাগল পালন, ধানের রোগ, ফল, ঔষধি উদ্ভিদ, চাষ পদ্ধতি, পেঁয়াজ, ভেষজ, livestock, ছাগলের খামার, ধান, নগরকৃষি, মুরগির জাত, হাইড্রোপনিক, ওষুধি গাছ, গরু মোটাতাজাকরণ, জমিজমা, তুলা-রেশম ,দেশী জাতের গরু, প্রাণী অধিকার, ভ্যাকসিন, সাথি ফসল, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, ছাগল, ছাগলের জাত, ছাদবাগান, বিকল্প খামার, বিদেশী ফসল ,ভূমি পরিমাপ, মোটাতাজাকরণ, লাইভস্টক, garden ,আলু, গরুর খামার, ডেইরি, দুগ্ধ খামার, ফলের বাগান, ভেড়া, মুরগি, মুরগী হাইড্রোপনিক পদ্ধতি,chicken grass, আদি জাত, আন্তঃফসল, ইউরিয়া, উন্নত জাত, এমওপি ,কাঠ, কৃমিনাশক, কৃষি ক্যালেন্ডার, কোল্ড ইনজুরি, ক্যাপসিকাম, ক্রনিক ব্লট, খরগোশ, খাঁচায় মাছ চাষ, খাটো হাইব্রিড নারিকেল, খেসারি, খড়ের পুষ্টিগুণ, গরু হিটে না আসার কারণ, গরুর খাবার, গরুর শেড, গরুর-জাত, গাভী পালন, গাড়ল, গোখাদ্য, ঘোড়া শিম, চট্টগ্রামের লাল গরু, চিংড়ি, চোখের কৃমি, ছাগল পরিবহন, জিঙ্ক, জৈব বালাইদমন, টমেটো চাষ, টিএসপি, ডিওপি, ড্যাপ, ড্রাগন ফল, তুলা চাষ পদ্ধতি, ত্বীন ফল, দলিলপত্র, ধানের খোল পচা রোগ, ধানের পাতা পোড়া রোগ, ধানের ব্লাস্ট, ধানের লক্ষ্মীর গু, নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল, নারিকেল, নার্সারি, নীল, পটাশ, পাউলোনিয়া, পাবনা ক্যাটল, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া, ফসলের পুষ্টি ঘাটতির লক্ষণ, বাঁশ, বাদামি দাগ রোগ, বারি জ্যাক শিম-১, বালাইনাশক, বিইউ শিম ৫, বিসিএস স্কোর, বেলজিয়ান ব্লু, ব্রয়লার, ব্রয়লার মুরগি, ব্লাড প্রোটোজোয়া, ব্ল্যাক বেঙ্গল, ভেড়া পালন, মহিষ, মহিষ পালন, মাছ, মাছ চাষ, মাজরা পোকা, মাটির স্বাস্থ্য, মিরকাদিমের সাদা গরু, মুন্সীগঞ্জ জাতের গরু, মুরগির টিকা. ময়ূরের খামার, রাসায়নিক সার, রেড চিটাগাং ক্যাটল, লাউ, লিভার টনিক, লেবু, লেয়ার মুরগি পালন, শুকর পালনশেড নির্মাণ, সংকর জাতের গরু, স্টিভিয়া, স্ট্রবেরি চাষ, হাঁস পালন, হাঁস-মুরগি পালন, হাজল পদ্ধতিতে মুরগীর বাচ্চা ফুটানো


শেয়ার করুন

0 coment rios: