Tuesday, May 31, 2022

কীভাবে একটি সমন্বিত এগ্রো ফার্ম গড়ে তুলবেন (ইউটিএগ্রোবিডি)

#utagrobd #krishibd #agrofarm #cowfarm #gotfarm #ইউটিএগ্রোবিডি #ইউটিএগ্রো #এগ্রোবিডি


 খামারি উদ্যোক্তা হওয়ার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। সেগুলো হলো – কী খামার করবেন, কোন খামার সবচেয়ে বেশী লাভজনক, আপনার মূলধন ও অবকাঠামোর জন্য কোন খামার সবচেয়ে উপযোগী হবে ইত্যাদি। খামারের নানান সেক্টর রয়েছে, তার মধ্যে ডেইরি, পোল্ট্রি, ফিসারিজ ইত্যাদি সর্বাধিক জনপ্রিয়। তবে প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে কম বিনিয়োগে সর্বাধিক লাভজনক ফার্মিং বলতে গেলে সমন্বিত এগ্রো ফার্মিং সবার আগে আসে। সমন্বিত এগ্রো ফার্মে অল্প বিনিয়োগে অধিক পরিমাণ লাভ করা যায়। এই ধরণের ফার্মিং করলে বিনিয়োগের ১০ গুণ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। তাছাড়াও সমন্বিত এগ্রো ফার্মে ঝুঁকির পরিমাণ খুব কম থাকে। সমন্বিত এগ্রো ফার্ম করার পূর্বে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সমন্বিত এগ্রো ফার্ম কী?

সমন্বিত এগ্রো ফার্ম বলতে একই জায়গায় সব রকমের ফার্মিং করাকে বোঝায়। অর্থাৎ, এমন একটি ফার্ম যেখানে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, মাছ, সবজী সবকিছু পরিকল্পিতভাবে উৎপাদন করা হয়। সমন্বিত এগ্রো ফার্মে সুপরিকল্পিতভাবে সবকিছু এমনভাবে উৎপাদন করা হয় যেখানে একটি উৎপাদন অন্যটির উপর নির্ভরশীল এবং উৎপাদন ব্যয় অনেকাংশে কমে যায়। সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়, অপচয় হয়না বললেই চলে, নিয়মিত/প্রতিদিনই আয় আসে।

সমন্বিত এগ্রো ফার্মের একটি উদাহরণ:

ধরা যাক আপনার এক বিঘার একটি পুকুর আছে। আপনি সেখানে মাছ চাষ করেন। বছর শেষে এককালীন মাছ বিক্রি করে কিছু টাকা আসে। কোনো কারণে মাছ মরে গেলে বা সঠিক বৃদ্ধি না হলে সেই বছর আপনি কিছুই পাবেন না।

এবার আসি আপনি যদি পুকুরটিতে সমন্বিত খামার করেন তাহলে সেটা কেমন হবে।

আপনি পুকুরে মাছ ছাড়লেন। কিছু হাঁস পালন করলেন। হাঁসের উচ্ছিষ্ট খাবার ও বিষ্ঠা খেয়ে আপনার মাছ দিব্যি বেড়ে উঠবে। মাছের আলাদা কোনো খাবার লাগবেনা। এবার পুকুরের চারপাশে জাল টানিয়ে মাচা করে লাউ, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা লাগালেন। সেগুলো সব পুকুরের মধ্যে মাচার উপর থাকবে। এবার পাড়ের চারপাশে লাউ গাছের ফাঁকে ফাঁকে পেঁপে গাছ লাগালেন। পেঁপে গাছ উপরে উঠে গেলো। তাহলে আপনি যথাযথ যত্ন নিলে পুকুরের আকারভেদে প্রতিদিন বা একদিন বাদে একদিন প্রচুর পরিমাণে লাউ, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা বিক্রি করতে পারবেন। হাঁসের ডিম বিক্রি করতে পারবেন। লাউ, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা এসবের ফুল, পাতা, হাঁসের উচ্ছিষ্ট খাবার ও বিষ্ঠা খেয়ে মাছও অনেক বেশী গ্রোথ পাবে। বছর শেষে এককালীন বেশ বড় অঙ্কের টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন। এখানে একটা খারাপ হলেও অন্যটা আপনাকে পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবে।

আরেকটু বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।

ধরা যাক পুকুরের আয়তন ৩০০/২০০ ফিট। স্বাভাবিকভাবে বছরে ১ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি হয়।

এবার সমন্বিত ফার্মিং পদ্ধতিতে –

১০ ফিট অন্তর মোট ১০০ পিস লাউ গাছ লাগালেন।

লাউ গাছের ফাঁকে ফাঁকে একটা করে পেঁপে গাছ – ১০০ পিস পেঁপে গাছ।

১০০ পিস লাউ গাছ থেকে সপ্তাহে কমপক্ষে ১০০ পিস লাউ পাবেন যার বাজারমূল্য ৩০০০ টাকা, মাসে – ১২০০০, বছরে ১,৪০,০০০ টাকা। (এর বাইরে লাউ শাক বিক্রি তো আছেই!)

১০০ পিস পেঁপে গাছ থেকে সপ্তাহে কমপক্ষে ১০০ কেজি পেঁপে পাবেন যার বাজারমূল্য ২০০০ টাকা, মাসে – ৬০০০, বছরে ৭০,০০০ টাকা।

২০০ হাঁস পালন করলেন, প্রতিদিন অন্তত ১৬০/১৭০ টা ডিম পাবেন

বছর শেষে ১৫০,০০০ টাকার মাছ বিক্রি করলেন।

তাহলে দেখা যাচ্ছে আগে যেখানে বছরে সাকূল্যে ১ লক্ষ টাকা আয় হত সেখানে সমন্বিত এবং পরিকল্পিত ফার্মিং করে বছরে অনায়াসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে কঠোর পরিশ্রম করতে না পারলে বছরে একবার মাছ বিক্রি করেই সন্তুষ্ট থাকুন!!

সমন্বিত এগ্রো ফার্মের প্রধান বৈশিষ্টসমূহ:

জমির সর্বোত্তম ব্যবহার – সমন্বিত এগ্রো ফার্মের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হল জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং অপচয় সম্পূর্ণ রোধ করা। একটি পরিকল্পিত এগ্রো ফার্ম এমনভাবে তৈরি করা হয় যেখানে একটি সামান্য পাতা, এমনকি কোনো প্রাণীর বিষ্ঠা/বর্জ্য-ও নষ্ট হয়না। সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে অর্থে পরিণত হয় বা অর্থ ব্যয় রোধ করে।

ঝুঁকি কম – সমন্বিত এগ্রো ফার্মে ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। একটিতে দূর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে লোকসান হলে অন্যগুলো থেকে থেকে সেটি অনায়াসে পুষিয়ে নেওয়া যায়। একটি বা দুইটি পণ্যের বাজারমূল্য কমে গেলেও কোনো সমস্যা হয়না। কারণ সমন্বিত এগ্রো ফার্মে অনেক কিছু উৎপাদিত হয়।

স্বয়ংসম্পূর্ণতা – সমন্বিত এগ্রো ফার্ম একেবারেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। এই ফার্মে পোষা প্রাণির খাবার খামারেই উৎপাদিত হয়। খামারেই উৎপাদিত হয় প্রয়োজনীয় জৈবসার। এমনকি বিদ্যুৎ, গ্যাস ও খামারেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যায়। মোট কথায় সমন্বিত এগ্রো ফার্মমানেই একটি উৎপাদন চক্র।

আপনি ফার্ম করতে ইচ্ছুক? আপনি যদি ফার্ম করতে ইচ্ছুক হন, আপনার যদি ভালো উঁচু জমি, পুকুর থাকে এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আমরা আপনাকে ফার্মের পরিকল্পনা/লে-আউট থেকে শুরু করে ফার্ম লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার সহযোগিতা করবো। আমাদের সহযোগিতায় আপনার বিনিয়োগের ঝুঁকি একেবারেই কমে যাবে এবং লাভের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। আপনার যদি ফার্মের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে এবং আপনি কঠোর পরিশ্রমী হন তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।


...............................................................TAG...................................................................................

ফসল, পশু-পাখি পালন, কৃষি প্রযুক্তি, শাক-সবজি, crops, দানাশস্য, পশু-পাখির রোগ, ডিজিটাল বই, মৎস্য চাষ, পশুপাখির খাদ্য, বিবিধ, অর্থকরী ফসল, বায়োফ্লক, জৈব, কৃষি, ডাল, ১২ মাসের রুটিন, গরুর জাত, তেলবীজ, ফসলের রোগ, গরু, মসলা, ছাগল পালন, ধানের রোগ, ফল, ঔষধি উদ্ভিদ, চাষ পদ্ধতি, পেঁয়াজ, ভেষজ, livestock, ছাগলের খামার, ধান, নগরকৃষি, মুরগির জাত, হাইড্রোপনিক, ওষুধি গাছ, গরু মোটাতাজাকরণ, জমিজমা, তুলা-রেশম ,দেশী জাতের গরু, প্রাণী অধিকার, ভ্যাকসিন, সাথি ফসল, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, ছাগল, ছাগলের জাত, ছাদবাগান, বিকল্প খামার, বিদেশী ফসল ,ভূমি পরিমাপ, মোটাতাজাকরণ, লাইভস্টক, garden ,আলু, গরুর খামার, ডেইরি, দুগ্ধ খামার, ফলের বাগান, ভেড়া, মুরগি, মুরগী হাইড্রোপনিক পদ্ধতি,chicken grass, আদি জাত, আন্তঃফসল, ইউরিয়া, উন্নত জাত, এমওপি ,কাঠ, কৃমিনাশক, কৃষি ক্যালেন্ডার, কোল্ড ইনজুরি, ক্যাপসিকাম, ক্রনিক ব্লট, খরগোশ, খাঁচায় মাছ চাষ, খাটো হাইব্রিড নারিকেল, খেসারি, খড়ের পুষ্টিগুণ, গরু হিটে না আসার কারণ, গরুর খাবার, গরুর শেড, গরুর-জাত, গাভী পালন, গাড়ল, গোখাদ্য, ঘোড়া শিম, চট্টগ্রামের লাল গরু, চিংড়ি, চোখের কৃমি, ছাগল পরিবহন, জিঙ্ক, জৈব বালাইদমন, টমেটো চাষ, টিএসপি, ডিওপি, ড্যাপ, ড্রাগন ফল, তুলা চাষ পদ্ধতি, ত্বীন ফল, দলিলপত্র, ধানের খোল পচা রোগ, ধানের পাতা পোড়া রোগ, ধানের ব্লাস্ট, ধানের লক্ষ্মীর গু, নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল, নারিকেল, নার্সারি, নীল, পটাশ, পাউলোনিয়া, পাবনা ক্যাটল, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া, ফসলের পুষ্টি ঘাটতির লক্ষণ, বাঁশ, বাদামি দাগ রোগ, বারি জ্যাক শিম-১, বালাইনাশক, বিইউ শিম ৫, বিসিএস স্কোর, বেলজিয়ান ব্লু, ব্রয়লার, ব্রয়লার মুরগি, ব্লাড প্রোটোজোয়া, ব্ল্যাক বেঙ্গল, ভেড়া পালন, মহিষ, মহিষ পালন, মাছ, মাছ চাষ, মাজরা পোকা, মাটির স্বাস্থ্য, মিরকাদিমের সাদা গরু, মুন্সীগঞ্জ জাতের গরু, মুরগির টিকা. ময়ূরের খামার, রাসায়নিক সার, রেড চিটাগাং ক্যাটল, লাউ, লিভার টনিক, লেবু, লেয়ার মুরগি পালন, শুকর পালনশেড নির্মাণ, সংকর জাতের গরু, স্টিভিয়া, স্ট্রবেরি চাষ, হাঁস পালন, হাঁস-মুরগি পালন, হাজল পদ্ধতিতে মুরগীর বাচ্চা ফুটানো
#utagrobd #krishibd #agrofarm #cowfarm #gotfarm #ইউটিএগ্রোবিডি #ইউটিএগ্রো #এগ্রোবিডি

শেয়ার করুন

0 coment rios: