Sunday, May 29, 2022

ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাড়তি দামেও লোকসান গুনতে হচ্ছে (ইউটিএগ্রোবিডি)

jagonews24

 


জাগো নিউজ

ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাড়তি দামেও লোকসান গুনতে হচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পোলট্রি খামারিদের। এক কেজি ওজনের একটি মুরগি উৎপাদন খরচ ১৪০ টাকা হলেও খামারিদের বিক্রি করতে হচ্ছে ১১৮ টাকায়।

একটি ডিম উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ২০ পয়সা। বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা ৫০ পয়সায়। তবে ডিমপ্রতি ২০ থেকে ৩০ পয়সা আপাতত লাভ হলেও মাত্র এক মাস আগে রোজার মধ্যে এক পিস ডিম বিক্রি হয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা দরে। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় দুই টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে। এজন্য পোলট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন খামারিরা।

ঈশ্বরদী পোলট্রি খামার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত খামারি আকমল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘খামার এখন উদ্যোক্তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ উদ্যোক্তারা বেকারত্ব ঘোচাতে ও স্বাবলম্বী হতে পোলট্রি খামার করেছিলেন। এখন অনেক খামারি লোকসানের কবলে পড়ে মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এরই মধ্যে ঈশ্বরদীতে প্রায় দুইশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে।’

পোলট্রি খামারিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি বছরে চারবার খাদ্যের দাম বেড়েছে। চারমাস আগেও এক বস্তা (৫০ কেজি) মুরগির খাবার ২২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৭৫০ টাকায়। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকের বেতন, খাঁচা ও শেড নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। প্রতিনিয়ত উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু মাংস ও ডিম কত টাকায় বিক্রি হবে সেটা নির্ধারণের ক্ষমতা খামারিদের হাতে নেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। ফলে মাংস ও ডিম বিক্রি করে ক্ষুদ্র খামারিরা তাদের খরচই উঠাতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের এস এম পোলট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সালাম জানান, বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ২০ পয়সা। খাদ্য ৬ টাকা ৭০ টাকা, শ্রমিক ৫০ পয়সা, বিদ্যুৎ ৫০ টাকা, ওষুধ ৪০ টাকা, ডিম পরিবহন ও ভাঙাসহ অন্যান্য ১০ পয়সা টাকা।

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন খামার করি তখন (৫০ কেজি) খাদ্যের মূল্য ছিল ১৩০০ টাকা, এখন ২৭৫০ টাকা। দ্বিগুণের বেশি দাম বেড়েছে। কিন্তু ডিমের দাম তো বাড়েনি। তখন প্রতি পিস ডিম ৮ টাকায় বিক্রি হতো। এখনও সে মূল্যেই বিক্রি হয়।’

‘৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পোলট্রি খামার করেছি। খামারে ৩৩০০ মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৮০০ ডিম হয়। ক্ষুদ্র খামারি হিসেবে শুধু এটুকুই বলতে পারি, যেভাবে খাদ্যের দাম বাড়ছে এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না’, বলেন এ খামারি।

একই এলাকার খামারি শিমুল খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারের উদাসীনতা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে একের পর এক মুরগির খাবারের দাম বাড়ছে। এতে বহু খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যবসায় এখন বড় পুঁজির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করেছে। ফলে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক ক্ষুদ্র খামারি।’

মুলাডুলি গ্রামের আহাদ আলীর খামারে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। প্রতিটি মুরগির ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। একটি মুরগির পেছনে ব্যয় হয়েছে ২৬৫ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি ওজনের একটি মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪০ টাকা। এখন এ মুরগি পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা কেজি দরে।

আহাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এভাবে আর কতদিন লোকসান দেওয়া যায়? খাদ্যের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি পোলট্রি মাংসের দাম না বাড়ালে ক্ষুদ্র খামারিরা হয়তো অচিরেই নিঃস্ব হয়ে যাবে।’

সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী গ্রামের সততা পোলট্রি খামারির স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান মাসুম বলেন, এ শিল্পকে ধরে রাখতে ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। পাশাপাশি এ খাতে সরকারি প্রণোদনা বাড়াতে হবে। খাদ্যের দাম যেহেতু বেড়েছে তাই সরকারকে মাংস ও ডিমের দামও বাড়াতে হবে। তা নাহলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব খামার বন্ধ হয়ে যাবে।


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে ৪৫১টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিডার ৭, লেয়ার ২২৬ ও ব্রয়লার ২১৮টি। খামারিদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরামর্শসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে পোলট্রি খাদ্যের দাম বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে মাংস ও ডিমের দামও বেড়েছে। পোলট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে। তবে ঈশ্বরদীর খামারিরা এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছেন।



...............................................................TAG...................................................................................
ফসল, পশু-পাখি পালন, কৃষি প্রযুক্তি, শাক-সবজি, crops, দানাশস্য, পশু-পাখির রোগ, ডিজিটাল বই, মৎস্য চাষ, পশুপাখির খাদ্য, বিবিধ, অর্থকরী ফসল, বায়োফ্লক, জৈব, কৃষি, ডাল, ১২ মাসের রুটিন, গরুর জাত, তেলবীজ, ফসলের রোগ, গরু, মসলা, ছাগল পালন, ধানের রোগ, ফল, ঔষধি উদ্ভিদ, চাষ পদ্ধতি, পেঁয়াজ, ভেষজ, livestock, ছাগলের খামার, ধান, নগরকৃষি, মুরগির জাত, হাইড্রোপনিক, ওষুধি গাছ, গরু মোটাতাজাকরণ, জমিজমা, তুলা-রেশম ,দেশী জাতের গরু, প্রাণী অধিকার, ভ্যাকসিন, সাথি ফসল, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, ছাগল, ছাগলের জাত, ছাদবাগান, বিকল্প খামার, বিদেশী ফসল ,ভূমি পরিমাপ, মোটাতাজাকরণ, লাইভস্টক, garden ,আলু, গরুর খামার, ডেইরি, দুগ্ধ খামার, ফলের বাগান, ভেড়া, মুরগি, মুরগী হাইড্রোপনিক পদ্ধতি,chicken grass, আদি জাত, আন্তঃফসল, ইউরিয়া, উন্নত জাত, এমওপি ,কাঠ, কৃমিনাশক, কৃষি ক্যালেন্ডার, কোল্ড ইনজুরি, ক্যাপসিকাম, ক্রনিক ব্লট, খরগোশ, খাঁচায় মাছ চাষ, খাটো হাইব্রিড নারিকেল, খেসারি, খড়ের পুষ্টিগুণ, গরু হিটে না আসার কারণ, গরুর খাবার, গরুর শেড, গরুর-জাত, গাভী পালন, গাড়ল, গোখাদ্য, ঘোড়া শিম, চট্টগ্রামের লাল গরু, চিংড়ি, চোখের কৃমি, ছাগল পরিবহন, জিঙ্ক, জৈব বালাইদমন, টমেটো চাষ, টিএসপি, ডিওপি, ড্যাপ, ড্রাগন ফল, তুলা চাষ পদ্ধতি, ত্বীন ফল, দলিলপত্র, ধানের খোল পচা রোগ, ধানের পাতা পোড়া রোগ, ধানের ব্লাস্ট, ধানের লক্ষ্মীর গু, নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল, নারিকেল, নার্সারি, নীল, পটাশ, পাউলোনিয়া, পাবনা ক্যাটল, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া, ফসলের পুষ্টি ঘাটতির লক্ষণ, বাঁশ, বাদামি দাগ রোগ, বারি জ্যাক শিম-১, বালাইনাশক, বিইউ শিম ৫, বিসিএস স্কোর, বেলজিয়ান ব্লু, ব্রয়লার, ব্রয়লার মুরগি, ব্লাড প্রোটোজোয়া, ব্ল্যাক বেঙ্গল, ভেড়া পালন, মহিষ, মহিষ পালন, মাছ, মাছ চাষ, মাজরা পোকা, মাটির স্বাস্থ্য, মিরকাদিমের সাদা গরু, মুন্সীগঞ্জ জাতের গরু, মুরগির টিকা. ময়ূরের খামার, রাসায়নিক সার, রেড চিটাগাং ক্যাটল, লাউ, লিভার টনিক, লেবু, লেয়ার মুরগি পালন, শুকর পালনশেড নির্মাণ, সংকর জাতের গরু, স্টিভিয়া, স্ট্রবেরি চাষ, হাঁস পালন, হাঁস-মুরগি পালন, হাজল পদ্ধতিতে মুরগীর বাচ্চা ফুটানো

শেয়ার করুন

0 coment rios: