Thursday, December 2, 2021

উন্নত জাতের সরিষা এই সরিষা থেকে ভালো মানের তেল উৎপাদন করা সম্ভব।













সরিষা

সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্য তেল ফসল। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে এর চাষাবাদ করা হয় এবং প্রায় আড়াই লক্ষ টন তেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতরে সরিষার বীজে প্রায় ৪০-৪৪% তেল থাকে। খৈলে প্রায় ৪০% আমিষ থাকে। তাই খৈল গরু ও মহিষের জন্য খুব পুষ্টিকর খাদ্য।


বাংলাদেশে ৩ প্রকার সরিষার চাষ করা হয়। এ গুলো হলো-টরি, শ্বেত ও রাই।


সরিষার জাত

টরি-৭
ফসল বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ৭০-৮০ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্দতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ফলন ৯৫০-১১০০ কেজি হয়। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৮-৪১%। জাতটি রোগবালাই সহনশীল। 

সোনালী সরিষা (এসএস-৭৫)
ফলে ৪ টি কক্ষ থাকে এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ৩৫-৪৫ টি । বীজের রং হলদে সোনালী । বীজ গোলাকার।হাজার বীজের ওজন ৩.৫-৪.৫ গ্রাম এবং বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪-৪৫%। গাছের কান্ড ও শিকড় শক্ত বলে অধিক সার ও সেচ প্রয়োগে গাছ নুয়ে পড়ে না। 

কল্যাণীয়া (টিএস-৭২)    
বীজ গোলাকার। হাজার বীজের ওজন ২.৫-৩.০ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ ৪০-৪২%। ফসল পাকতে ৭৫-৮৫ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্দতিতে চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ১.৪৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। কল্যাণীয়া জাতটি স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল আগাম জাত।

দৌলত ( আর এস-৮১)
বপন থেকে তোলা পর্যন্ত ৯০-১০৫ দিন সময় লাগে। হেক্টর প্রতি ফলন ১.১-১.৩ টন। দৌলত জাত খরা ও কিছুটা লবনাক্ততা সহনশীল। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪০%। জাতটি অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ সহনশীল।


বারি সরিষা -৬ (ধলি)
ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ২২-২৫ টি। হাজার বীজের ওজন ৩-৪ গ্রাম। বীজের রং হলদে। কান্ড ও শিকড় শক্ত হওয়ায় গাছ হেলে পড়ে না। পরিপক্ক ফল ফেটে গিয়ে বীজ ঝরে পড়ে না। ফল ও ফলের ঠোঁট তুলনামূলকভাবে লম্বা। বারি সরিষা -৬ (ধলি) পাকতে ৯০-১০০ দিন সময় লাগে। পরিমাণমত সার ও সেচ দিলে প্রতি হেক্টরে ১.৯-২.২ টন ফলন পাওয়া যায়। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪-৪৫%।

বারি সরিষা -৭ (ন্যাপাস-৩১৪২)
গাছের পাতা বোটাহীন ও তল মসৃণ । ফুলের পাঁপড়ির রং সাদা। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২৫ টি । ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ২৫-৩০ টি। 

বারি সরিষা -৮ (ন্যাপাস-৮৫০৯)
ফুলের পাঁপড়ির রং হলদে। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২৫ টি, ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট । প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ২৫-৩০ টি। বীজের রং কালচে। হাজার বীজের ওজন ৩.৪-৩.৬ গ্রাম। ফসল পাকতে ৯০-৯৫ দিন সময় লাগে।বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩-৪৫%। এ জাত অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ ও সাময়িক জলাবদ্দতা  সহনশীল। 

রাই-৫
প্রতি গাছে ৪-৬ টি প্রাথমিক শাখা থাকে। পাতা বোটাযুক্ত ও খসখসে। প্রস্ফুটিত ফুল কুড়ির নিচে অবস্থান করে।প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২০। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪০%।

বারি সরিষা -৯
এ জাতটি  ‌টরি-৭ এর চেয়ে শতকরা ১০-২৫ ভাগ বোশ ফলন দেয়। আমন ধান কাটার পর এবং বোরো ধান চাষের আগে। স্বল্প মেয়াদী এ জাতটি সহজে চাষ করা সম্ভব। বীজে তেলের পরিমাণ শতকরা ৪৩-৪৪ ভাগ। ফসল পাকতে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে। পরিমাণমত সার ও সেচ দিলে হেক্টরে ১.২৫-১.৪৫ টন ফলন পাওয়া যায়।  

বারি সরিষা -১০
গাছের উচ্চতা ৯০-১০০ সেমি। প্রতি গাছে ৪-৬ টি প্রাথমিক শাখা থাকে। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। পাতা হালকা সবুজ রংয়ের। পাতা  বোটাযুক্ত ও খসখসে । প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ১০০-১২০ টি । ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট । প্রতি পলে বীজের সংখ্যা ১২-১৫ টি । বীজের রং পিঙ্গঁল । হাজার বীজের ওজন ২.০-৩.০ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ শতকরা ৪২-৪৩ ভাগ। হেক্টর প্রতি ফলন ১.২৫-১.৪৫ টন। আমন ধান কাটার পর এ জাতটি নাবি জাত হিসাবে চাষ করা যায়। 

বারি সরিষা -১১
হাজার বীজের ওজন ৩.৫-৪.০ গ্রাম। বীজের ওজন অন্যান্য রাই সরিষার চেয়ে বেশি। ফসল ১০৫-১১০ দিন পাকে। প্রতি হেক্টরে ২.০-২.৫ টন ফলন পাওয়া যায়। এ জাতটি দৌলতের চেয়ে ২০-২৫% বেশি ফলন দেয়। আমন ধান কাটার পর এ জাতটি নাবি জাত হিসাবে চাষ করা যায়। জাতটি খরা এবং লবনাক্ত সহনশীল। প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ১২-১৫ টি। বীজের রং পিঙ্গল।

বারি সরিষা -১২
হাজার বীজের ওজন ২.৬-৩.২ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩- ৪৪%। ফসল ৭৮-৮৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৪৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়। 
 

বারি সরিষা-১৩:

হেক্টর প্রতি ফলন ২.২০-২.৮০ টন। ফসল ৯০-৯৫ দিনে পাকে। বীজে তেলের পরিমান শতকরা প্রায় ৪৩ ভাগ।

 

বারি সরিষা -১৪

হাজার বীজের ওজন ৩.৫-৩.৯ গ্রাম।  ফসল ৭৫-৮০ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৪-১.৬ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।

 

বারি সরিষা -১৫
হাজার বীজের ওজন ৩.২৫-৩.৫০ গ্রাম। ফসল ৮০-৮৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৫৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।

 

বারি সরিষা -১৬
হাজার বীজের ওজন ৪.৭-৪.৯ গ্রাম। ফসল ১০৫-১১৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ২.০-২.৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর  বোরো ধান করে না এমন জমিতে এ জাতটি নাবি জাত হিসেবে চাষ করা যায়। এ জাতটি খরা ও লবনাক্ততা সহিষ্ঞু।

 

বারি সরিষা -১৭
হাজার বীজের ওজন ৩.০-৩.৪ গ্রাম। ফসল ৮২-৮৬ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৭-১.৮ টন ফলন পাওয়া যায়। জাতটি স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় রোপা আমন-সরিষা-বোরো ধান শস্য বিন্যাসের জন্য উপযুক্ত।

 

বিনাসরিষা-৪

হাজার বীজের ওজন ৩.৫০-৩.৮০ গ্রাম। বীজের রঙ লালচে কালো এবং বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪% । জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। সর্বোচ্চ ২.৪০ টন /হেক্টর ফলন পাওয়া যায়। তবে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৭০ টন।

 

বিনা সরিষা-৭

জাতটি খরা এবং অল্টারনারিয়া জনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ সহনশীল। বীজের আকার তুলনামূলকভাবে বড় এবং ১০০০ বীজের ওজন ৩.৫০-৪.২৫ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৬-৩৮%। জীবনকাল ১০২-১১০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২.০ টন।

 

বিনা সরিষা-৮

বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪১%। জীবনকাল ১০০-১০৮ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২.৪ টন।

 

বিনা সরিষা-৯

জাতটি অল্টারনারিয়া জনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ এবং বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা  সহনশীল। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩%। জীবনকাল ৮০-৮৪ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ১.৬০ টন।

 

বিনা সরিষা-১০

বীজে তেলের পরিমাণ ৪২%। জীবনকাল ৭৮-৮২ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ১.৫ টন।

 

বপন পদ্ধতি:

সরিষা বীজ সাধারণত ছিটিয়ে বপন করা হয়। লাইন করে বুনলে সার, সেচ ও নিড়ানী দিতে সুবিধা হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১ ফুট রাখতে হয়। বপনের সময় জমিতে প্রয়োজনীয় রস থাকা দরকার।

 

বপনের সময়:

বিভিন্ন অঞ্চলের তারতম্য এবং জমির জো অবস্থা অনুযায়ী টরি-৭, কল্যাণীয়া, সোনালী সরিষা, বারি সরিষা-৬, বারি সরিষা-৭ ও বারি সরিষা-৮ এর বীজ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক মাস পর্যন্ত বোনা যায়। রাই-৫ এবং দৌলত কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।

 

নিড়ানী দেয়া:
বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পর একবার এবং ফুল আসার সময় দ্বিতীয়বার নিড়ানি দিতে হয়।

 

সেচ প্রয়োগ:

বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে (গাছে ফুল আসার সময়) প্রথম সেচ এবঙ ৫০-৫৫ দিসের মধ্যে (ফল ধরার সময়) দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। বপনের সময় মাটিতে রস কম থাকলে চারা গজানোর ১০-১৫ দিনের মধ্যে একটি হালকা সেচ দিতে হয়।


সারের পরিমান:

জাত, মাটি এ মাটিতে রসের তারতম্য অনুসারে সার দিতে হয়। সারের পরিমান নিম্নরুপ (গ্রাম/শতক)
 

সারের নাম          সোনালী সরিষা, বারি সরিষা-৬,       টরি-৭, কল্যাণীয়া, রাই-৫, দৌলত
                           বারি সরিষা-৭, বারি সরিষা-৮, 
                                 বারি সরিষা-১৩


ইউরিয়া                                 ১২০০                                                    ১১০০
টিএসপি                                 ৬৫০                                                     ৬২৫
এমওপি                                  ৩৫০                                                     ৩২৫
জিপসাম                                 ৬৫০                                                     ৬২৫
জিংক সালফেট                         ২০                                                          ১৫
বোরাক্স/বরিক এসিড                ২৫                                                          ২৫
পচা গোবর                              ১৫ টন                                                    ১৫ টন
 

ইউরিয়া সার অর্ধেক ও অন্যান্য সমুদয় সার বপনের আগে এব১ বাকি অর্ধেক ইউরিয়া গাছে ফুল আসার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হয়। সার উপরি প্রয়োগের সময় মাটিতে রস থাকা দরকার।




  • রোগের নামঃ

    সরিষার বিছা পোকা

  • লক্ষণঃ

    ১। পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে। ২। এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে। ২। ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে। ৩। কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কট ১০ ইসি ১ মিলি বা সিমবুশ ১০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ৪। ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে। ৫। বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।

  • সাবধানতাঃ

    ১। ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।

  • করনীয়ঃ

    ১। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন।


  • রোগের নামঃ

    সরিষার হোয়াইট মোল্ড রোগ

  • লক্ষণঃ

    ১। ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। ২। এতে পাতার বোটায়, কান্ডে ও ফলে সাদা তুলার মত বস্তু দেখা যায় ।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। প্লাবন সেচের পরিবর্তে স্প্রিংলার সেচ দেয়া। ২। আক্রান্ত ফল,পাতা ও ডগা অপসারণ করা। ৩। বীজ লাগানোর আগে গভীরভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরী করা । ৪। প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

  • সাবধানতাঃ

    ১। ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না।

  • করনীয়ঃ

    ১। আগাম সরিষা বপন করুন। ২। উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ।



  • রোগের নামঃ

    সরিষার করাতমাছি পোকা

  • লক্ষণঃ

    ১। এ পোকার কীড়া পাতা খেয়ে সরিষার ক্ষতি করে থাকে।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা ২. পোকাসহ আক্রান্ত ডগা অপসারণ করা। ৩. ম্যালাথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ফাইফানন ৫৭ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

  • সাবধানতাঃ

    ১। ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

  • করনীয়ঃ

    ১। আগাম সরিষা বপন করুন ২। উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন।

  • রোগের নামঃ
    সরিষার জাবপোকা বা এফিড

  • লক্ষণঃ

    ১। পিপিলিকার উপস্থিতি এ পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয় । ২। আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমন ঘটে এবং গাছ মরে যায়।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা ২। আক্রান্ত ডগা অপসারণ করা। ৩। পরভোজী পোকা যেমন : লেডি বার্ড বিটল লালন। ৪। ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ৫। প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

  • সাবধানতাঃ

    ১। ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

  • করনীয়ঃ

    ১। আগাম সরিষা বপন করুন ২। উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন।

  • রোগের নামঃ
    সরিষার পাতা ঝলসানো রোগ

  • লক্ষণঃ

    এ রোগ হলে বয়স্ক পাতায় দাগ দেখা যায়, ক্রমেই তা কান্ড ও ফলেও দেখা যায়।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। ম্যানকোজেব বা কর্বেন্ডাজিম ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা।

  • সাবধানতাঃ

    ১। আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না ২। ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

  • করনীয়ঃ

    ১। আগাম সরিষা বপন করুন ২।উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ৩। সরিষা বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কর্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।



  • রোগের নামঃ
    সরিষার ফ্লি বিটল পোকা

  • লক্ষণঃ

    ১। পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । ২। পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । ৩। এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । ৪। আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয় ।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ । ২। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ । ৩। চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া । ৪। আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো ৫। ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

  • সাবধানতাঃ

  • করনীয়ঃ

    ১। আগাম বীজ বপন করা ২। সুষম সার ব্যবহার করা


  • রোগের নামঃ
    সরিষার কাটুই পোকা

    লক্ষণঃ

  • ১। এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরাবর কেটে দেয়। ২। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। সকাল বেলা কেটে ফেলা চারার আশে পাশে মাটি খুড়ে পোকা বের করে মেরে ফেলা । ২। কেরোসিন (২-৩ লি./ হেক্টর হারে) মিশ্রিত পানি সেচ দেয়া। ৩। পাখি বসার জন্য ক্ষেতে ডালপালা পুতে দেয়া। ৪। রাতে ক্ষেতে মাঝে মাঝে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে তার নিচে কীড়া এসে জমা হবে, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলা। ৫। ক্ষেতের মাটি আলগা করে দেওয়া। ৬. এ পোকা নিশাচর, রাতের বেলা সক্রিয় থাকে- তাই রাতে হারিকেন বা টর্চ দিয়ে খুজে খুজে পোকা মেরে ফেলা ৭।২০-২৫ মিটার দূরে দূরে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। ৮। প্রতি সপ্তাহে ৮০০-১২০০টি ব্রাকন হেবিটর নামক পরজীবি পোকা অবমুক্ত করা। ৯। ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডারসবান ৫ মিলি./লি হারে অথবা (ক্লোরপাইরিফস+ সাইপারমেথ্রিন) গ্রুপের কীটমাশক যেমন: বাইপোলার ৫০ ইসি বা হাইড্রো বা সেতারা ৫৫ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে অথবা ল্যাম্ডা সাইহ্যালোথ্রিন গ্রুপের কীটমাশক যেমন: ক্যারাটে বা ফাইটার বা রিভা ২.৫ ইসি ১.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে বা সন্ধ্যার পর গাছের গোড়ায় স্প্রে করা।

  • সাবধানতাঃ

    ১। এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না।

  • করনীয়ঃ

    ১। উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকা পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন। ২। চারা লাগানোর/ বপনের পর প্রতিদিন সকালে ক্ষেত পরিদর্শন করুন





তৈলফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা আবাদ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সরিষা চাষ বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন রোপা আমন ও বোরো এর মাঝে চাষযোগ্য সরিষার জাত নির্বাচন। স্বল্পজীবনকালের রোপা আমন চাষের পর সরিষা অনায়াসে চাষ করা যায়। সরিষার উচ্চফলনশীল কিন্তু স্বল্প মেয়াদী জাত সমুহের বৈশিষ্ট্য নিন্মে দেওয়া হলোঃ

বারি সরিষা-৯
গাছের উচ্চতা ৮০-৯৫ সেমি এবং প্রতি গাছে ৪-৬টি শাখা থাকে। পাতা হালকা সবুজ রঙের এবং মসৃণ। পাতার বোঁটা কান্ডকে সম্পূর্ণ ঘিরে রাখে। প্রস্ফুটিত ফুল কুঁড়ির উপরে থাকে। ফুলের রং হলুদ। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৮০-১০০টি। ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট। প্রতি বীজে ফলের সংখ্যা ১৫-২০টি। বীজের রং পিঙ্গল। এক হাজার বীজের ওজন ২.৫-৩.০ গ্রাম। বীজে তেলে পরিমাণ ৪৩-৪৪ ভাগ। ফসল পাকতে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি ১.২৫-১.৪৫ মে.টন ফলন পাওয়া যায়।
বারি সরিষা-১৪
গাছের উচ্চতা ৭৫-৮৫ সেমি। পাতা হালকা সবুজ রঙের এবং মসৃণ। ফুলের রং হলুদ। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৮০-১০০টি। ফল ৪ কক্ষ বিশিষ্ট মনে হলেও ২ কক্ষ বিশিষ্ট। প্রতি বীজে ফলের সংখ্যা ২২-২৬টি। বীজের রং হলুদ। এক হাজার বীজের ওজন ৩.৫-৩.৮ গ্রাম। ফসল পাকতে ৭৫-৮০ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি ১.৪-১.৬ মে.টন ফলন পাওয়া যায়।
বারি সরিষা-১৫
গাছের উচ্চতা ৯০-১০০ সেমি। পাতা হালকা সবুজ রঙের এবং মসৃণ। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৭০-৮০টি। ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট। প্রতি বীজে ফলের সংখ্যা ২০-২২টি। ফল বারি সরিষা-১৪ এর তুলনায় সরু ও লম্বা। বীজের রং হলুদ। এক হাজার বীজের ওজন ৩.২৫-৩.৫০ গ্রাম। ফসল পাকতে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি ১.৫৫-১.৬৫ মে.টন ফলন পাওয়া যায়।
বারি সরিষা-১৭
গাছের উচ্চতা ৯৫-৯৭ সেমি। পাতা হালকা সবুজ রঙের এবং মসৃণ। ফুলের রং হলুদ। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৬০-৬৫টি। ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট। প্রতি বীজে ফলের সংখ্যা ২৮-৩০টি। বীজের রং হলুদ। এক হাজার বীজের ওজন ৩.০-৩.৪ গ্রাম। ফসল পাকতে ৮২-৮৬ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি ১.৭-১.৮ মে.টন ফলন পাওয়া যায়।
বিনাসরিষা-৪
গাছের উচ্চতা ৯০-৯৫ সেমি। প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৩-৫ টি। এ জাতের ফুলের রং হলুদ। বীজের রং লালচে কালো। এক হাজার বীজের ওজন ৩.৬-৩.৮ গ্রাম। ফসল পাকতে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৮০ মে.টন। এ জাতের সরিষা মধ্য অগ্রহায়ন পর্যন্ত বপন করা করা যায়।
বিনাসরিষা-৯
গাছের উচ্চতা ৮৫-৯০ সেমি। প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৩-৪টি। এ জাতের ফুলের রং হলুদ। বীজের রং লালচে কালো। এক হাজার বীজের ওজন ২.৯-৩.৫ গ্রাম। ফসল পাকতে ৮০-৮৪ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৭ মে.টন। অল্টারনারিয়া ব্লাইট ও বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা সহনশীল।
বিনাসরিষা-১০
গাছের উচ্চতা ৯৫-১০৫ সেমি। প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৩-৫টি। এ জাতের ফুলের রং হলুদ। বীজের রং লালচে। এক হাজার বীজের ওজন ২.৮-২.৯ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমা ৪২%।  ফসল পাকতে ৭৮-৮২ দিন সময় লাগে। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৫ মে.টন।







#Agriculture_meherpur #krishibd #Development #ধানের #বীজ #Bangladesh #agriculture #কৃষি_উন্নয়ন #Newsforall #কৃষিতে_বাংলাদেশ #Agriculture_BD #পেপের

সরিষা চাষের নিয়মাবলি
সরিষা চাষের সঠিক পদ্ধতি
সরিষা কিভাবে লাগাতে হবে
কখন সরিষা লাগানোর সঠিক সময়
কিভাবে সরিষা চারা দিতে হয়
সরিষা কিকি সার লাগে
খন সরিষা বীষ\কীটনাশক দিতে হবে
বরিশালের সরিষা দাম
খুলনার সরিষার দাম
কাওরান বাজারের সরিষার দাম
ঢাকার সরিষার বাজার কতো
সিলেটের সরিষার দাম
চিটাগাং এ সরিষার দাম
নিমসা কুমিল্লা সরিষার দাম
মায়েলহারার সরিষার দাম
রাজশাহী সরিষার দাম
বগুড়ার সরিষার দাম
কুষ্টিয়ার সরিষার দাম
ময়মনসিংহের সরিষার দাম



সকল সবজির বীজ,,
বেলকনি ,আঙ্গিনায় অল্প জায়গায় চাষ করতে চান ,,
#বারি_শিম ১ ,,,,,,,,15 টি বীজ
#বারি_ঢেরস ১,,,,,,,25 টি বীজ
#শশা বারোমাসি,,,,,30 টি বীজ
#করোলা,,,,,,,,,,,,20 টি বীজ
#দেশি শিম,,,,,15 টি বীজ
#টমেটো রতন,,,,,৫০ টি বীজ
#বারি_বিটি_বেগুন 4,,,,,,,,,,,,,35 টি বীজ
#পুইশাক,,,,,,,,,,,,,,,,,3০ টি বীজ
#মিস্টি_কুমড়া,,,,,,,,,15 টি বীজ
#লাউ,,,,,,,,,,,,,,,,15 টি বীজ
#লাল_শাক,,,,,,,,,,,পরিমান মতো
#ডাটা_শাক,,,,,,পরিমান মতো
#বাধাকপি,,,,,,২০ টা বীজ
#ফুলকপি,,,,,২০ টা বীজ,,,
এছাড়াও গিফট আইটেম তো থাকছেই ,,,
#যে কোন 7 টি আইটেম 200 টাকা
#মোট 15 টি আইটেম ,350 টাকা মাত্র
উচ্চ ফলনশীল উন্নত বীজ যা এই মাসে লাগানো যাবে ।
#মিনিপ্যাকেট লাউ,কুমড়া,করোলা, টমেটো,ঢেরস বারি১,খিরা ইত্যাদি মাত্র ,,,,২৫/৪৫ টাকা প্যাকেট,
#স্কোয়াস ,,,,,১১০ টাকা মাত্র
#টমেটো রতন ,,,৮৫ টাকা মাত্র(লাল তীর)
#বাবু_পেপে -৪৬ টাকা মিনি প্যাকেট
#চিচিংগা ,,,১২০ টাকা (BADC বীজ)
#ঝিংগা হাজারি ,,,,৪৫ টাকা মিনি প্যাকেট
#ইস্পাহানী_মরিচ_লংকা ,,,,৪৮০ টাকা ১০ গ্রাম''ভাইরাস প্রতিরোধসম্পন্ন''
#বারি বিটি বেগুন ৪,,,,,,,,১২০ টাকা প্যাকেট
#ডাটা শাক ৬০ টাকা প্যাকেট
#লালশাক ৪৫ টাকা প্যাকেট
#শিম বারি ১,,,,,৮০ টাকা প্যাকেট(ব্রাক বীজ)
#করোলা (লালতীর),,,,,,,২৫০ টাকা (বড় সাইজ করোলা )
সকল সবজির উন্নত জাতের বীজগুলো পাবেন।
এছাড়াও ফুলের ২০ রকম বীজ দিচ্ছি।

Meherpur/01725471620






#NationalMuttDay #uaenationalday #moodchallenge
#5star #fivestar #letmebetheone #jacksonfive #choreography #choreographer #dorispearson
#songwriter #rnbsongwriter #80srnb #90srnb #90sclassics #80srnbmusic #oldskoolrnb #80sclassics #verzuz #rnbmusic #80smusic #oldschoolrnb #classicrnb #90sgroove #80sgroove #rnbsinger #oldschoolmusic #PassTheMic #dancing #AFC #MUFC #SpotifyWrapped #UAENationalDay! #Yearofthe50th #MuttDay #PetsAtHome #Webhelp #WebHEALTH #WeAreWebhelp
#VisitDubai #adoptdontshop
#adoptme #pawlidayseason #adoptme #fosterdog #muttsrock
#rescuedisourfavoritebreed #MongrelBoots
#manchester #manchesterunited #united #cristiano #ronaldo #cristianoronaldo #cr7 #cristiano #arsenal #work #future #people #uae #leaders #innovation #leaders #society #india #nation #csr #AL_Rowad_Schools #Career #careergoals #time #leaders #leadership #leadershipcoach #Leader #proffessionals


ভেজাল সার চেনার উপায়

অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে নকল সার বা ভেজাল সার তৈরি ও বিক্রি করছেন। কৃষকভাইয়েরা একটু সতর্ক হলেই আসল সার ও ভেজাল সারের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এখানে কয়েকটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে আসল বা ভেজাল সার শনাক্ত করার উপায় সম্পর্কে জানানো হলো:
 
ইউরিয়া সার চেনার উপায়:
আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান হয়। তাই কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান কিনা। ইউরিয়া সারে কাঁচের গুড়া অথবা লবণ ভেজাল হিসাবে যোগ করা হয়। চা চামচে অল্প পরিমান ইউরিয়া সার নিয়ে তাপ দিলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হয়ে সারটি গলে যাবে। যদি ঝাঁঝালো গন্ধ সহ গলে না যায়, তবে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল।

 
টিএসপি সার চেনার উপায়:
টিএসপি সার পানিতে মিশালে সাথে সাথে গলবে না। আসল টিএসপি সার ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর পানির সাথে মিশবে। কিন্তু ভেজাল টিএসপি সার পানির সাথে মিশালে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গলে যাবে বা পানির সাথে মিশে যাবে।

 
ডিএপি সার চেনার উপায়:
ডিএপি সার চেনার জন্য চামচে অল্প পরিমান ডিএপি সার নিয়ে একটু গরম করলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ হয়ে তা গলে যাবে। যদি না গলে তবে বুঝতে হবে সারটি সম্পূর্ণরুপে ভেজাল। আর যদি আংশিকভাবে গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি আংশিক পরিমান ভেজাল আছে। এছাড়াও কিছু পরিমান ডিএপি সার হাতের মুঠোয় নিয়ে চুন যোগ করে ডলা দিলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে। যদি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের না হয় তাহলে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল।

 
এমওপি বা পটাশ সার চেনার উপায়:
পটাশ সারের সাথে ইটের গুড়া ভেজাল হিসাবে মিশিয়ে দেয়া হয়। গ্লাসে পানি নিয়ে তাতে এমওপি বা পটাশ সার মিশালে সার গলে যাবে। তবে ইট বা অন্য কিছু ভেজাল হিসাবে মিশানো থাকলে তা পানিতে গলে না গিয়ে গ্লাসের তলায় পড়ে থাকবে। তলানি দেখে সহজেই বুঝা যাবে সারটি আসল নাকি ভেজাল।

 
জিংক সালফেট সার চেনার উপায়:
জিংক সালফেট সারে ভেজাল হিসাবে পটাশিয়াম সালফেট মেশানো হয়। জিংক সালফেট সার চেনার জন্য এক চিলতে জিংক সালফেট হাতের তালুতে নিয়ে তার সাথে সমপরিমান পটাশিয়াম সালফেট নিয়ে ঘষলে ঠান্ডা মনে হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।
 

শেয়ার করুন

0 coment rios: